পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গুজব, গণপিটুনি ও বাস্তবতা

(২৩ জুলাই, ২০১৯ সালের ফেসবুক পোস্ট) কুরআন বলছে, ধ্বংস হোক, যারা শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে (কথা বলে)।' "হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, যদি কোনো দুষ্ট লোক তোমাদের কাছে কোনো তথ্য নিয়ে আসে, তবে তোমরা (সত্যতা) পরখ করে দেখবে, না জেনে তোমরা কোনো একটি সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে ফেললে অতঃপর নিজেদের কৃতকর্মের ব্যাপারে তোমাদেরই অনুতপ্ত হতে হলো।" "হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা বেশী বেশী অনুমান করা থেকে বেঁচে থাকো, কিছু কিছু অনুমান অপরাধ.." হাদিস বলছে, যাহা শুনে তাহাই বলিতে থাকা কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য ইহাই যথেষ্ট। "ঐ ব্যক্তি বীর নয়, যে লোকদের কে ভূ-লুণ্ঠিত করে, বরং বীর ঐ ব্যক্তি যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করিতে পারে।" *হে জন, হে গণ, সন্দেহ থেকে নির্বিচারে হত্যার আগে সত্যতা যাচাই করুন। বিচারহীনতার অভিযোগ থেকে জনতার আদালতও কি বিচারহীন হবে? আগে বিচার করুন পরে রায় দিন। একজন নির্দোষ ব্যক্তি শাস্তি পাওয়া, দোষী ব্যক্তি মুক্তি পাওয়ার থেকে বেশি ক্ষতিকর! চিলের পিছনে দৌড়াবার আগে কানে হাত দিন। একই ভুল বারবার করবেন না, হাদিস বলছে, কোন মুমিন একই গর্তে দুইবার দংশিত হয় না।...

একটি জাতীয়তাবাদী নাটিকা : বাংলা ও বালআমের গাধা

ছবি
[একজন কথক সংলাপ বহির্ভূত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বর্ণনা বয়ান করবেন।] সুপ্রিয় জাতীয়তাবাদী মানুষজন! আজ আমরা জাতীয়তাবাদের বিচার করবো। জাতীয়তাবাদ যুগ যুগ ধরে বিকশিত হয়েছে। জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে আমরা কী পেলাম, কী হারালাম! সমস্যা হলো-কী দিয়ে বিচার করবো! বিবেক? মানুষের বিবেক কি চূড়ান্ত বিচারে সক্ষম? বিবেক দিয়ে বিবেকের বিচার বড়োই কঠিন! আসুন, আমরা পক্ষে-বিপক্ষে আলাপ করি। পৌরাণিক কাহিনী ও ইতিহাসকে টেনে আনি বিচারের সূত্র হিসেবে। চলুন, জাগিয়ে তুলি সময়কে।  Photo credit: Balaam with angel and donkey, copperplate engraving by William Marshall Craig. Retrieved from: https://cdn.britannica.com/52/143352-050-F2336346/Balaam-angel-donkey-copperplate-engraving-William-Marshall.jpg?w=300 প্রথম অঙ্ক প্রথম দৃশ্য [বালাকের রাজদরবারে উৎকণ্ঠিত সবাই। যার অবস্থান যতো উপরে, তার চিন্তার পারদও ততো উপরে। পয়গম্বর ইউশার বাহিনী অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে আসছে। সেনাবাহিনী যুদ্ধের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছে।] রাজা: (সকাল সকাল সভায় উত্তেজিত কণ্ঠে) আপনারা এভাবে বসে থাকবেন না। দ্রুত কোনো উপায় খুঁজে বের করুন। ইউশার বাহিনীকে যুদ...

মরমী সাধক হাসন রাজার জন্মবার্ষিকী

স্বনামধন্য লোকসঙ্গীত রচয়িতা ও সাধক হাসন রাজার জন্মবার্ষিকী আজ। আজও মানুষের কন্ঠে কন্ঠে হাসন রাজার গান হিসেবে ফিরে- ‘নেশা লাগিল রে’, ‘বাউলা কে বানাইলোরে’, ‘লোকে বলে হে বলে রে’, ‘মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দি’..অমূল্য এ গানগুলি। মরমী চারণ কবি হাসন রাজা ১৮৫৪ খৃসটাব্দ মোতাবেক ১২৬১ বঙ্গাব্দের  ৭ পৌষ বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার লক্ষণশ্রী গ্রামে এক বিত্তবান জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। হাসন রাজার পূর্ব পুরুষ দক্ষিণ রাঢ় দেশ থেকে হিন্দু কায়স্থ রাজা বিজয় সিংহ এবং তার অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে শত্রুতা এবং বিবাদের সূত্রপাত হলে শ্রীহট্ট জেলায় এসে কুলাউড়া নামক স্থানে বসতি গড়ে তোলেন। সেখানে কিছুদিন থাকার পর চলে আসেন ‘রামপাশা’য় এবং দেওয়ান বাবু ইসলাম ধর্মে দীক্ষালাভ করে বাবু খাঁ নাম গ্রহন করে পরবর্তীকালে সেই নামেই পরিচিতি লাভ করেন। দেওয়ান খাঁ’র কয়েক পুরুষ পরের বংশধর দেওয়ান আলী রেজা চৌধুরী তার জমিদারী রামপাশা থেকে স্থানান্তরিত করে নিয়ে আসেন সুনামগঞ্জের কাছে লক্ষণশ্রীতে। এই লক্ষণশ্রীতেই জন্ম গ্রহন করেছিলেন দেওয়ান হাসন রাজা চৌধুরী ওরফে হাসন রাজা। হাসন রাজার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তেমন কিছু ছিল না কিন্তু মনের দিক...