মঙ্গল-আলোক
প্রায় সোয়া শো বছর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বহুল আলোচিত ছোটগল্প কাবুলিওয়ালা। এতে তিনি পিতৃ স্নেহের সুন্দর মানবিক উপস্থাপন করেছেন। বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় গল্পটির অপ্রধান অনুষঙ্গ আমার নিকট খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। গল্পটির শেষ বাক্যগুলি এরকম,
![]() |
Photo Credit: https://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2018/03/01/607966 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিয়ালা গল্পে মিনি ও রহমতের কথোপকথনের চিত্রায়ণ। |
’’... আমি একখানি নোট লইয়া তাহাকে দিলাম। বলিলাম, “রহমত, তুমি দেশে তোমার মেয়ের কাছে ফিরিয়া যাও; তোমাদের মিলনসুখে আমার মিনির কল্যাণ হউক।” এই টাকাটা দান করিয়া হিসাব হইতে উৎসব-সমারোহের দুটো-একটা অঙ্গ ছাঁটিয়া দিতে হইল। যেমন মনে করিয়াছিলাম তেমন করিয়া ইলেকট্রিক আলো জ্বালাইতে পারিলাম না, গড়ের বাদ্যও আসিল না, অন্তঃপুরে মেয়েরা অত্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করিতে লাগিলেন, কিন্তু মঙ্গল-আলোকে আমার শুভ উৎসব উজ্জ্বল হইয়া উঠিল।....’’
***বিয়ে, খৎনা, নববর্ষ, ইদ, পূজা, পিকনিক ইত্যাদি নানা উপলক্ষে আমাদের সমাজ বাদ্য, আলোকসজ্জায় যে সম্পদ অপচয় করে এতে অকল্যাণ ছাড়া কিছু দেখি না। এই অকল্যাণের হিসাব হইতে আমরা ইচ্ছা করিলেই বাদ্যের অনুষঙ্গ বাদ দিয়ে নিজের ও সমাজের কল্যাণ করতে পারি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন